এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য তালিকা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
এদিকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর যেসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন বা পলাতক আছেন, তাদের একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো চিঠির জবাব এলেই পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু পুলিশ নয়, বিভিন্ন দপ্তরের অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠানোর জন্যও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন পদমর্যাদার অন্তত ১৮৭ পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেননি বলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক বার্তায় জানিয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর।
এদের মধ্যে কতজনের পাসপোর্ট আছে তা জানা যায়নি। কাজে না ফেরা এই পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায়।
যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, বিশেষ শাখার প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
এ সব কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল ছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্রও বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও যারা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে তাদেরও পাসপোর্ট বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
এরই মধ্যে কয়েকজনের পাসপোর্ট বাতিলের কাজ শুরু হয়ে গেছে এমন তথ্য উল্লেখ করে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান। এ ছাড়াও ওই তালিকায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে।